বাবা এক সুপ্ত আবেগ | Le Delicia

বাবা এক সুপ্ত আবেগ

“বাবা মানে হাজার বিকেল

আমার ছেলে বেলা

বাবা মানে রোজ সকালে

পুতুল পুতুল খেলা”

তাসনীম সাদিয়ার রচিত “বাবা মানে” গানটিতে এভাবেই বাবাকে প্রকাশ করা হয়েছে। 

প্রাককথাঃ

বাবা এক সুপ্ত অনূভুতির নাম যা হয়তো কখনোই আমরা ঠিক প্রকাশ করতে পারি না। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের আগলে রাখা মানুষটি আমাদের বাবা। শৈশবে আমাদের খেলার সঙ্গী কিংবা নিত্যদিনের পার্কে ঘুরতে যাওয়ার সঙ্গী থাকেন বাবা। বাবা হচ্ছেন সেই মানুষ যার শাসনে আমরা ভয়ে লুকোই আবার তার গাম্ভীর্যপূর্ণ ভালোবাসায় আপ্লুত হই। মায়ের মতো সারাক্ষণ আমাদের বাবা ঘেঁষে থাকা হয় না, কিংবা যত বায়না আবদারের ঝুড়ি নিয়ে হয়তো বসা হয় না কিন্তু বাবা নামক এই বৃক্ষের ছায়ার শীতলতা আমরা উপলব্ধি করি সবসময়। জীবনের পথে প্রতিটি পর্যায়ে সঠিক পথে এগিয়ে দিয়ে বাবারা আমাদের পৌঁছে দেন সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে। বাবাদের এই অবদান সাহিত্যেও প্রতিফলিত হয়েছে নানা সময়ে। “অপরিচিতা” গল্পে কল্যানির বাবার দৃঢ় ব্যাক্তিত্বে জন্যই ততকালীন যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে  রুখে দাড়ানোর বিষয়টি ফুটে ওঠে। যুগে যুগে এমন হাজারো বাবার সংগ্রামের জন্য সমাজের অনেক দুর্নীতির অবসান ঘটে।

একজন বাবা একটি জীবনের বট বৃক্ষ। হাজার বিপদেও একজন বাবা সব সময় তার সন্তানের হাত ধরে রাখে। বাবারা হার মানতে জানে না। ঈদ পুজোয় সবার জন্য দামি দামি জামা কাপড় আর নিজের জন্য কিছুই না কিনে আনা ব্যক্তির নাম বাবা। 

 

পৃথিবীতে যে দু’জন মানুষের ঋণ ও অবদান অতুলনীয় ও অমূল্য সেই মানুষ দুজন আমাদের বাবা-মা। মা কে নিয়ে আমাদের আদর আহ্লাদ কিংবা আবেগের কোনো শেষ নেই। তবে বাবার গাম্ভীর্যে আমাদের আবেগের প্রকাশ খুব বেশিই ক্ষীণ হয়ে যায়। তবুও বিশেষ কোনো দিন পেলে বা বিশেষ উপলক্ষ বা অজুহাত পেলে সে অনুভূতি প্রকাশ করতে কি আর ইতস্তত করা চলে? তেমনই এক বিশেষ দিন এই বাবা দিবস। 

 

ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় বাবা দিবস। মধ্যযুগে ইউরোপের ক্যাথলিক দেশগুলোতে মার্চের ১৭ তারিখে বাবা দিবস উদযাপিত হতো। যুক্তরাজ্যে বাবা দিবস শুরু হয় সনোরা স্মার্ট ডডের হাত ধরে। জুন মাসের তৃতীয় রবিবারে এই বাবা দিবস উদযাপন শুরু হয়। এছাড়াও অন্যান্য অনেক দেশ বিভিন্ন তারিখে নিজেদের সংস্কৃতি অনুযায়ী বাবা দিবস উদযাপন করে। ক্যাথলিক ইউরোপে ১৫০৮ সালের দিকে মার্চের ১৯ তারিখ ক্যাথলিকরা যীশু খ্রিষ্টের পিতা সেন্ট জোসেফ ডে হিসেবে পালন করে আসতো। পরবর্তীতে স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজদের হাত ধরে আমেরিকায় বাবা দিবস পালনের শুরু হয়। ১৯০৮ সালে গ্রেস গোল্ডেন ক্লেটন আমেরিকার মাইন এক্সিডেন্টে নিহতদের সম্মানে বাবা দিবস পালনের প্রস্তাব করেন যদিও সেটি তখন বাস্তবায়িত হয় নি। পরবর্তী বছরে সনোরা স্মার্ট ডড বাবা দিবসের বিশ্বজুড়ে উদযাপনের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেন৷ সনোরা স্মার্ট ডড এবং তার পাঁচ ভাইকে তাদের বাবা একা হাতে মানুষ করেছিলেন। পরবর্তীতে চার্চে যখন তারা মা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন।  এরপরেই তারা স্পোকেন মিনিস্টারিয়াল এসোসিয়েশনকে বিশ্বব্যাপী বাবা দিবস পালনের জন্য রাজি করান।

 

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে এই বাবা দিবস পালিত হয়। বাংলাদেশে বাবা দিবস পালনের বিশেষ কোনো ইতিহাস নেই, এমনকি এই বাবা দিবস বিশেষ পরিচিত ও ছিলো না। তবে ইদানীংকালে মিলেনিয়াম এবং জেনারেশন জি কমিউনিটির সোশ্যাল মিডিয়া প্রমোশনে বাবা দিবস ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বাংলাদেশে একটি প্রচলিত কথা আছে যে প্রতিটি দিনই বাবা দিবস, তাই বাবাকে প্রতিদিনই ভালোবাসো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশেই জুনের তৃতীয় রবিবারে বাবা দিবস পালন করা হয়, তবে এটি জাতীয় ছুটির দিবস নয়।

 

বাবার জন্য বিশেষ কিছু 

বাবার জন্য জমানো আবেগগুলো বেশিরভাগ অপ্রকাশিতই রয়ে যায়। বাবা বা মাকে কখনোই জানানো হয় আমরা তাদের ঠিক কতটা ভালোবাসি। তবে এই বাবা দিবসের বিশেষ উপলক্ষে হয়ে যাক সেই নিরব ভালোবাসার উদযাপন। এই বিশেষ দিনে নাহয় আমরাও স্পেশাল কিছু করি আমাদের বাবাদের মুখের হাসি ফোটাতে। বাবা দিবসে তাদের উপহার হিসেবে দিয়ে পারি একটি দিন বা একটি বিকেল। তাদের নিয়ে আমরা ঘুরতে যেতে পারি তাদের পছন্দের কোনো জায়গা বা তাদের শৈশবের কোনো স্মৃতিবিজড়িত স্থানে। বাবা বই পড়তে ভালোবাসলে এনে দিতে পারি তার পছন্দের বই। তাদের শখের কোনো জিনিস উপহার হিসেবে দিতে পারি কিংবা পছন্দের কোনো খাবার দিয়ে তাদের ছোট খাটো একটা সারপ্রাইজ তো দেওয়াই যায়। এছাড়াও তাদের নিয়ে মুভি দেখতে যাওয়া, পরিবারের সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া সহ আরও নানা ছোট খাটো উপহার দিয়ে একটি সুন্দর দিন তাদের উপহার দেওয়াই যায়। উদযাপনের অংশ হিসেবে নিতে পারেন বাবার জন্য সাজানো বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইজড কেক। বাবার কোর্ট, চশমা কিংবা গোঁফ-দাঁড়ি ইত্যাদির আদলে তৈরি কেক দিয়ে বাবাকে আরেকটু বেশি স্পেশাল ফিল করানোই যায়। 

আপনাদের এই বাবা দিবসকে আরও রঙিন করতে লা ডেলিশিয়া নিয়ে এলো বিশেষ আয়োজন। এই বাবা দিবসে লা ডেলিশিয়ার যেকোনো আইটেম নিলেই পাচ্ছেন পুরো ১৫% ডিসকাউন্ট। আর যেকোনো কেকের উপর পাচ্ছেন ২০% ছাড়। তাহলে আর দেরি কেনো? অর্ডার করুন আমাদের সাইটে অথবা কল করুন আমাদের হটলাইন নাম্বার এ 01833316000 এবং একটি রঙিন দিন উপহার দিন আপনার বাবাকে। এই বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবাদের জন্য রইলো আমাদের পক্ষ থেকে অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। 

 

`
  • No products in the cart.